মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
তুরস্কের প্রতিবেশি দেশ গ্রিস সীমান্তের কাছে ১২ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মারা যাওয়াদের অনেককে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে তাদের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার সকালে নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরেকজন ঠান্ডায় অসুস্থ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, মারা যাওয়াদের মধ্যে একজনের বাড়ি দিরাই উপজেলার সাকিতপুর গ্রামে ফুল মিয়া সর্দারের ছেলে জনি সর্দার (৩৫) ও আরেকজনের বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাথারিয়া গ্রামে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু বলেন, গ্রিসের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকের পর তাঁদের পোশাক ও জুতা খুলে নেন।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, কোনো অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফিরিয়ে দিতে পারে না গ্রিস। তবে দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গ্রিসের বিরুদ্ধে। যদিও গ্রিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। অবৈধভাবে তাঁরা নৌকাযোগে লিবিয়া থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। শীতে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। অবৈধভাবে তাঁরা নৌকাযোগে লিবিয়া থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। শীতে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। সর্বশেষ তুরস্ক ও গ্রিস সীমান্তে যারা মারা গেলেন তাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশের আছেন কি না, তা জানা যায়নি।
তুরস্কের গ্রিস সীমান্তের কাছে তীব্র ঠান্ডায় ১৯ অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।